সর্ব প্রথম আমাদের সেক্কু বা সাকিব আমাকে ম্যাসেজ দিয়ে ," চল আলিফ আমরা সবাই একদিন দেখা করি , যারা আছে আসে পাশে " ।
আমি বলি ," ঠিক আছে সমস্যা নাই কিন্ত কবে , কিভাবে , সবাইকে কে কি জনাইছিস"
সাকিব বলে , " আমার মুনার সাথে কথা হইছে , তুই ও মুনার সাথে কথা বলে নে " ।
আমি বলি , " ঠিক আছে আমি কথা বলে নেবো"।
তারপর আমি মুনাকে ম্যাসেজ দিলাম , কিরে সাকিব আমাকে বলছে সবাই নাকি দেখা করবে , তোর সাথে ও নাকি কথা বলে ফেলছে ।
মুনা বলে , " হ্যা"
তারপর কিছু সাধারণ কথা হইছে । কথা বলে শেষ করে আমি সাকিবের কাছে গিয়ে বললাম মুনার সাথে কথা হইছে আমার মাত্র । সাকিব তখন আমি , মুনা আর নিজেরে নিয়া একটা টেম্পোরারি গ্রুপ খুলে । ওই জায়গায় আমরা কথা বার্তা বলি । ওইখানে ঠিক হয় দেখা করবো সামনের শুক্রবার । কিন্ত ঐ দিন মুনার দাওয়াত ছিলো । তাই ওই সময় টা ক্যান্সেল করতে হয় । পরে ঠিক হয় ২ তারিখ শুক্রবার দেখা করবো । আমার উপর দায়িত্ব ছিলো সবাইকে জানিয়ে দেওয়া । মুনার দায়িত্ব ছিলো তোদের সেগারিন ওরফে সেহেরিন কে নিয়ে আসা । মুনা প্রথমে রাজী হচ্ছিল না কিন্ত পরে রাজি হয় । ওইদিন আরো কিছু কথা বার্তা হয় , সে গুলা ছিলো সাধারণ কথা বার্তা ।
ঐদিনের রাত কেটে গেলো । পরের দিন থেকে আমি স্কুলে গিয়ে সবাইকে জানতে থাকলাম ( অনিক , আলী , নিলয় , সিয়াম , মামাজ ইত্যাদি ) । সবাই কে জানানোর পর দেখলাম নিলয় এই বিষয়ে বেশি সিরিয়াস । নিলয় বলে তারিখ টা পিছাতে হবে নাহলে সে আসতে পারবে না । শুক্রবারে নিলয়ের আব্বু বাড়িতে থাকবে । তাই তারিখটা ২ থেকে ৩ করে দিলাম । সময় আবার ঠিক হলো শনিবার ৪ টা । সব ঠিক ছিলো । সব থেকে বেশি ঝামেলা করেছিলো অনিক । যাই হোক , আমি আর নিলয় ঠিক করলাম যে আমরা সকলের বাসায় যাবো , গিয়ে তাদের নিয়ে আসবো । নিলয়কে বলে দিছি যে ২ টা বাজে আমার নানুর বাড়িতে চলে আসতে । নিলয় আর আলী ঠিক সময়ে চলে ও আসছে কিন্ত আমি ছিলাম লেইট । আমি গিয়ে পৌছায় দেরিতে । আমি গিয়ে ক্যামেরা অন করে ভ্লগ শুরু করি ( ভ্লগের বুদ্ধিটা আমার ছিলো না )। তারপর সবার বাসায় গেলাম । যাদের পারছি গেছি যাদের পারি নাই যায় নাই । সবার আগে গেলাম জামিলের বাসায় , জামিল বাড়িতে নাই । তারপর গেলাম মমর বাসায় মম তৈরি হয়ে ছিলো । আমরা যেতেই ও আমাদের সাথে আসলো । তারপর আমরা গেলাম হাসান শাহ এর মজারে । মাজারে যাবার রাস্তায় মামাজ আসলো । মাজারে উদয় , কদর আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল । ওদের ও নিয়ে নেই । ভাবছিলাম অনিক কে ডাক দিবো কিন্ত কে জানি বলছিলো আজকে অনিকের খেলা আছে তাই অনিক মাঠে আসবে । আমরা আবার চলে গেলাম সেই খেলার মাঠে । মাঠে যাবার রাস্তায় সাকিব এসে পড়ল । সাকিব কে নিয়ে মাঠে গেলাম । মাঠে যাবার পর জান্নাত আবার কল দেই । জান্নাতের সাথে প্রায় সবাই কথা বলে । মাঠে অনিক আসছে কিন্ত সে তার খেলার জন্য আমাদের সাথে আসে নাই । অনিকের দেখা দেখি মম ও মাঠে থেকে গেলো । মাঠে একবার মুনা ফোন দেয় । মুনার ফোন পেয়ে আমরা চলে যেতে লাগলাম আবার হাসান শাহ এর মাজারে । মাজারের সামনে আসতেই মুনার সাথে দেখা । মুনার সাথে ছিলো মুনার একটা ছোট ভাই । আমরা সবাই এক সাথে হবার পর মাজারের পূর্ব দিকে জমিগুলোর দিক দিয়ে হাঁটতে লাগলাম । আমি পুরুটা সময় ক্যামেরা অন করে কথা বলছিলাম । আমার কাজে সবাই বিরক্ত ছিলো। আমরা কাঁচা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে অনেক গুলা ছবি তুললাম । আমি সবার সাথে একটা করে সিঙ্গেল সেলফি নেওয়ার চেষ্টা করলাম । তারপর আমরা আরো একটু হেঁটে সামনে গিয়ে একটা ইটের ভাটার পাশে সূর্য মুখী ক্ষেতের সামনে খালি জায়গায় গেলাম । ওই জায়গায় মুনা অনেক ছবি তুললো । মামাজ , আলী আর কদর একটা কথা ও বলে নাই । উদয় আমার সাথে মুটামুটি কথা বলছে । নিলয় , সাকিব, মুনা এক সাথে ছিলো বেশির ভাগ সময় । আমি বেশির ভাগ সময় ভিডিও করতে ব্যাস্ত । আমরা যখন ক্ষেতের পাশে চিলমা ওই জায়গায় অনেক গুলা বড় ভাই ও ছবি তুলছিলো । সবার শেষে আমরা বাড়িতে ফিরে আসলাম সন্ধায় । নিলয়ের বাড়িতে ওই দিন মেহমান এসে ছিলো তাই সে অনেক সমস্যাই পড়েছিল । দিন টা ভালো কেটেছিল । সবার টা জানি না , আমার মজা লেগেছে কিন্ত যেমন ভাবছিলাম তেমন হয় নাই । কিন্ত ওই দিন টা ভুলার মত না । প্রায় ৫ বছর পর আমরা সবাই একসাথে হলাম । আমার সবার সাথে আলাদা আলাদা ভাবে দেখা হলে ও ওই দিন এই সাথে দেখা হইছে । আমি অনেক খুশি । সেহেরীন ঐ দিন ওর দাদুর বাড়িতে গিয়েছিল তাই আসতে পরে নাই ।
আমি যখন এইটা লিখছি তখন অনেক ভুল তথ্য আছে আর অনেক তথ্য দেই নাই । তাই কারুর কিছু মনে থাকলে আমারে জানিয়ে দে আমি ঠিক করে দেবো । আমি বাংলা লিখতে অনেক ভুল করি , বিশেষ করে বানান ভুল । ওই গুলা ইগনোর কর। আমার কাছে যেই ছবি গুলা ছিলো সব গুলা দিছি । তোদের কাছে অন্য ছবি থাকলে আমাকে দে আমি দিয়ে দেবো ।আমি অনেক মিস করি সবাইকে ।
0 Comments